বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষা, যেমন আইইএলটিএস, স্যাট, টোয়েফলের মতো পরীক্ষা দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয়। আবেদনের ক্ষেত্রে ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় যাঁর স্কোর যত ভালো, তাঁর সুযোগও সেই অনুযায়ী বৃদ্ধি পায়। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এই শর্ত শিথিল করেছে। রাইস ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার জগতে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টাইমস হায়ার এডুকেশনের বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ১৪৭তম।
আইইএলটিএস ছাড়া আবেদনের সুযোগ পাবেন যারা
রাইস ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ইংরেজি দক্ষতার বিভিন্ন পরীক্ষা, যেমন আইইএলটিএস, স্যাট, টোয়েফল, ডুয়োলিঙ্গো পরীক্ষা ছাড়াই এই ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় হলো–বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবল প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা রাইস ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন। বাকি বিষয়ের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগের আওতায় পড়বেন না।
যা করতে হবে
প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্রসহ আবেদনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ইংরেজি ভাষার অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবেন। এই ভাষা দক্ষতা পরীক্ষায় ছাড় পাওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদনের সময় তাঁদের প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি ভাষাকে পড়াশোনার মাধ্যম হিসেবে পেয়েছেন, সেটি চিহ্নিত করতে হবে।
অফিশিয়াল লিংক
শুধু বাংলাদেশের এই ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়; বরং এই সুযোগের আওতায় রয়েছে এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেখা যাবে রাইস ইউনিভার্সিটির এই ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে।
অনুবাদ: আবিদা সুলতানা শামীমা