চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাস নামের প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অ্যামেরিকার নিয়োগকর্তারা সেপ্টেম্বরে অপেক্ষাকৃত কম কর্মী ছাঁটাই করেছেন, তবে এ বছরে এখন পর্যন্ত নিয়োগের পরিকল্পনা ২০০৯ সালের পর সর্বনিম্ন। অ্যামেরিকার শ্রমবাজারে যে সহায়তা দরকার, তা জানতেন বিনিয়োগকারীরা, তবে অটোম্যাটিক ডেটা প্রসেসিং তথা এডিপির কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে বিশেষভাবে অশুভ কিছু দেখা গেছে।
ফেডারেল সরকার শাটডাউনের ফলে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কর্মকাণ্ড স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আনুষ্ঠানিক ডেটা পাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে হাজির হয়েছে এডিপির প্রতিবেদনটি।
এতে জানানো হয়, অর্থনীতিবিদরা যেখানে সেপ্টেম্বর মাসে ৫০ হাজার বেশি কর্মসংস্থানের আশা করেছিলেন, সেখানে গত মাসে বেসরকারি খাতে চাকরি যাওয়ার সংখ্যা ৩২ হাজার।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাস নামের প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অ্যামেরিকার নিয়োগকর্তারা সেপ্টেম্বরে অপেক্ষাকৃত কম কর্মী ছাঁটাই করেছেন, তবে এ বছরে এখন পর্যন্ত নিয়োগের পরিকল্পনা ২০০৯ সালের পর সর্বনিম্ন।
রয়টার্স জানায়, এমন বাস্তবতা নীতিগত ও প্রযুক্তিগত কারণে শ্রমিকদের চাহিদা ও জোগান কমে যাওয়ার ফলে শ্রমবাজারে স্থবিরতার প্রমাণ হিসেবে হাজির হয়েছে।
চ্যালেঞ্জারের প্রতিবেদন নিয়ে সাধারণত এত হইচই হয় না, কিন্তু শাটডাউনের কারণে অন্য কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ডেটার মতো এটিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
শাটডাউনের ফলে শুক্রবার প্রকাশিতব্য সেপ্টেম্বরের কর্মসংস্থান প্রতিবেদনও স্থগিত হয়ে যায়।
১৯৮১ সালের পর ১৫তম শাটডাউনে সাময়িক ছুটিতে থাকবেন সাত লাখ ৫০ হাজার ফেডারেল কর্মী। এর ফলে সাপ্তাহিক বেকার ভাতা দাবিদারদের প্রতিবেদনের পাশাপাশি আগস্টে কারখানার ক্রয়াদেশ এবং নির্মাণ সংক্রান্ত ডেটাপ্রাপ্তি পিছিয়ে গেছে।
শাটডাউনের প্রভাব পড়তে পারে বাণিজ্য প্রতিবেদনের ওপরও।
চ্যালেঞ্জারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে আগের মাসের তুলনায় ছাঁটাই ৩৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৫৪ হাজার ৬৪। অন্যদিকে নিয়োগকর্তারা এ বছর ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৬টি চাকরিচ্যুতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা ২০২০ সালের পর এক বছরে সর্বোচ্চ।
দেশের চাকরির বাজারে আঁধার নামার একটি চিত্র পাওয়া যায় নিয়োগ পরিকল্পনাতেও।
এ বছর এখন পর্যন্ত দুই লাখ চার হাজার ৯৩৯ জনকে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যা ২০০৯ সালের পর সর্বনিম্ন। ওই বছর মহামন্দা থেকে কেবল উঠে দাঁড়াতে শুরু করে অ্যামেরিকার অর্থনীতি।
এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু চ্যালেঞ্জার জানান, বর্তমানে অ্যামেরিকা স্থবির শ্রমবাজার, ব্যয় বৃদ্ধি ও রূপান্তরকারী নতুন টেকনোলজি দেখছে। ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো হলে বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে পারে, তবে অন্য বিষয়গুলো নিয়োগকর্তাদের ছাঁটাই পরিকল্পনা কিংবা নিয়োগ স্থগিত রাখার দিকে ধাবিত করতে পারে।