প্রকৃতির বৈচিত্র্য নিয়ে অবস্থান অস্ট্রেলিয়ার। সেখানকার মানুষ, জীবনযাপন এবং প্রকৃতি নিয়ে অদ্ভুত সব বিষয় ছড়িয়ে রয়েছে। এখানে ডেমোগ্রাফার ম্যাকরিন্ডলের কাছ থেকে জেনে নিন অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে ১৯টি দারুণ তথ্য।
১. অস্ট্রেলিয়া যদি একটি শহর হতো তবে তা ২৩.৫ মিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের সপ্তম জনবহুল শহর হতো।
এই তালিকার ওপরে রয়েছে টোকিও, গুয়াংঝু, সাংহাই, জাকার্তা, সিউল এবং দিল্লি।
২. অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় জনসংখ্যা বাড়ছে। তাসমানিয়ায় প্রতিবছর ৫০০ জন মানুষ বাড়ে। এর চেয়ে বেশি সংখ্যক বাড়ছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায়।৩. অস্ট্রেলিয়ায় ট্যাক্স রেট বাড়ছে, তবে মৃত্যুহার কমছে সবচেয়ে বেশি। সিডনিতে মৃত্যুহার সবচেয়ে কম, মাত্র ৫.৩।
৪. ১৯৪৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় জন্মহার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে বছরে ৩ লাখ ১০ হাজার শিশুর জন্ম হয় অস্ট্রেলিয়ায়।৫. বিগত এক যুগ ধরে এখানকার দম্পতিরা নিজের পরিবার গঠন করছেন। তাদের ৩০ শতাংশের একই ধাঁচের পরিবার রয়েছে।
৬. প্রতি ১০ জন অস্ট্রেলিয়ানের মধ্যে একজন কর্মস্থলে যান পাবলিক বাসে চড়ে। এর চেয়ে বেশি মানুষ পায়ে হেঁটেই রওনা হন।
৭. এখানকার ৫৪ শতাংশ পরিবারের অন্তত ২টি করে গাড়ি রয়েছে।অস্ট্রেলিয়ায় যাত্রীর তুলনায় পাবলিক যানের সংখ্যা বেশি যা প্রায় ১৩.৩ মিলিয়ন।
৮. অস্ট্রেলিয়ার ৭৪ শতাংশ মানুষ ‘নো ওরিস’ কথাটি ব্যাপক হারে ব্যবহার করেন। এ ছাড়া ৭৩ শতাংশের মুখে ‘আভরো’ এবং ৭১ শতাংশ ব্যবহার করেন ‘জি ডে’ কথাটি।
৯. প্রতি ১০০টি পরিবারে তিন বছরের কম বসয়ী ১০টি শিশু, ২৭টি বিড়াল এবং ৪৫টি কুকুর রয়েছে।
১০. অস্ট্রেলিয়ায় পুরুষদের চেয়ে নারীদের সংখ্যা ১ লাখ বেশি। এর ৮টি রাজ্যের ৬টিতে পুরুষদের সংখ্যা ব্যাপকহারে কম।
১১. অস্ট্রেলিয়ার ৪০ শতাংশ বেড়েছে প্রাকৃতিক কারণে এবং জনসংখ্যা ৬০ শতাংশ বেড়েছে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে। ওয়ার্ল্ড গ্রোথ রেট ১.১ শতাংশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার রেট বেশি যা ১.৮ শতাংশ।
১২. প্রতি পাঁচজনের একজন ধনশালী যা জনগণের ২২ শতাংশ। এরা মোট ব্যক্তিগত সম্পদের ৫০ শতাংশের মালিক।
১৩. সিডনির আইকনিক ফেরির চেয়ে মেলবোর্নের আইকনিক ট্রামগুলো চারগুণ বেশি মানুষ বহন করে।
১৪. অস্ট্রেলিয়ানদের এক-তৃতীয়াংশ (৩৬ শতাংশ) বাড়িতে সোফায় বসে টেলিভিশন দেখতে দেখতে দিনের খাবার খান।
১৫. প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুজন (৪০ শতাংশ) অস্ট্রেলিয়ান সপ্তাহে একদিন সকালের নাস্তা খান না। আর তাদের অর্ধেক প্রায় প্রতিদিনই নাস্তা খান না।
১৬. অস্ট্রেলিয়ার ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা জেনারেশন জেড। তারা ২০৬৩ সাল থেকে অবসর নিতে শুরু করবেন। তখন তাদের বাৎসরিক উপার্জন ২ লাখ ২২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে এবং রাজধানীতে প্রতিটি বাড়ির মূল্য হবে ২.৫ মিলিয়ন ডলার।
১৭. অস্ট্রেলিয়ানরা গড়ে ১০ ঘণ্টা ১৯ মিনিট সময় ব্যয় করেন টেলিভিশন বা সিনেমা বা মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দায় চোখ রেখে।
১৮. প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবারের মোট সম্পদের মূল্য ১.৬ মিলিয়ন ডলার। এদের মধ্যে এক শতংশের সম্পদ ৫ মিলিয়ন ডলারের সমান।
১৯. অস্ট্রেলিয়ার প্রতি ১০০টি পরিবারে প্রতি ৯ মাসে একটি বিয়ে, প্রতি ৭ মাসে একটি মৃত্যু এবং প্রতি ১৪ সপ্তাহে একটি জন্মের ঘটনা ঘটে।সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার