একটা সময় ছিল বাবা-মা কিংবা নিকটজনরা প্রবাসীদের জন্য দেশ থেকে বিয়ে ঠিক করতেন। এছাড়াও প্রবাসে স্থানীয় অধিবাসীদের সহায়তায় পাত্র-পাত্রী ঠিক করা হত। অবশ্য শখের বশে অনেকেই ঘটকালি করতেন পরিচিত বা আত্মীয়দের প্রয়োজনে।
নাজিয়া মাহমুদ বহু বছর আগে থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। শুরুতে তিনি নিজেদের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে ম্যাচমেকিং এর কাজ শুরু করেন। খুব কম সময়ে তাঁর কাজের সুনাম কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর তিনি ১৮ বছরের ফুল টাইম ক্যারিয়ার ছেড়ে পুরোদমে ম্যাচমেকিং এর কাজ শুরু করেন। তাঁর দুটো প্ল্যাটফর্ম আছে। যারা নিজের পছন্দসই কাউকে বেঁছে নিতে চান এবং অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে থাকেন তাদের জন্য ‘ম্যাচমেকিং ফর বাংলাদেশি ইন অস্ট্রেলিয়া’ নামে চার হাজার সদস্যের একটি গ্রুপ রয়েছে।
তিনি সহ আরো দুজন মডারেটর ভলেনটারি সময় দিয়ে গ্রুপটা চালান। প্রবাসী কমিউনিটির জন্য এটি সম্পূর্ণ ফ্রি ম্যাচম্যাকিং সার্ভিস। গ্রুপের মাধ্যমে প্রতি বছরে গড়ে পাঁচ ছয়টি বিয়ের কাজ হচ্ছে।
এছাড়া আর যারা আরেকটু কাস্টমাইজড এবং নিজস্ব ভাবে খুঁজতে চান তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করে সহায়তা দিয়ে থাকেন যেটা সম্পূর্ণ পেইড সার্ভিস, যার নাম ‘নিকাহ বাই নাজিয়া মাহমুদ’। এটার মাধ্যমে প্রতি বছরে প্রায় ষোল সতেরটা বিয়ে দিয়ে থাকেন।
এই প্লাটফর্মটা চালাতে উনাকে সাহায্য করেন পাঁচজনের একটা টিম এবং এটি একটি ‘ইন্ড টু ইন্ড’ সার্ভিস। এটার মাধ্যমে পাত্র-পাত্রি খোঁজা থেকে ইসলামিক এবং সিভিল বিয়ের অনানুষ্ঠানিক নিবন্ধন সবকিছুই করে থাকেন।
এগুলোর সুবাদে উনারা প্রবাসে বাংলাদেশীয় ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদেরকে কমিউনিটিতে পরিচয় করিয়ে দেন। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুইতেই তাঁরা গ্রাহকদেরকে সুপারিশ করে থাকেন।
এরই ধারাবিকতায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছেন ‘ম্যাচমেকিং গালা ডিনার ২০২৩’। এটা অনুষ্ঠিত হবে ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার সিডনির লিভারপুলের ‘স্কাইভিউ রিসেপশন’-এ। এটি সিডনিতে বহুল স্বীকৃত একটা ‘ওয়েডিং ভেন্যু’।
এই উৎসবের টিকেট পার্টনার ‘দেশিইভেন্টস ডট কম’ যারা সিডনিতে বাংলাদেশিদের যেকোন অনুষ্ঠানের টিকেটিং এর জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত। খুব শ্রীঘ্রই এই উৎসবের অনলাইন টিকেট ছাড়া হবে। প্রত্যেকটা টিকেট’র মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পঞ্চান্ন ডলার।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী যেকোন বাংলাদেশি সপরিবারে এখানে যোগদান করতে পারবেন। তবে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আসন সংখ্যা দুইশ’র মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে।