উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয়তম দেশ। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় আট লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন দেশটিতে। তবে অন্য সব পেশার মানুষের মতোই শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির। আর বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর জন্য নতুন নীতি প্রণয়ন করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতেই মূলত বেশ কয়েকটি নতুন পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে বিনা মূল্যে স্টুডেন্ট ভিসায় নতুন করে আবেদন করা এবং পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসায় আবেদন করার যোগ্যতা প্রদানও রয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশটির অভিবাসন বিভাগ নতুন শিক্ষার্থী ভিসার পরিবর্তনগুলো ঘোষণা দেয়। পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে চালু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট সাব ক্লাস ৫০০ ভিসা ও গ্র্যাজুয়েট সাব ক্লাস ৪৮৫ ভিসা।
প্রায় ৪০ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী খাতে আনা অস্ট্রেলিয়ার সরকারের নতুন পাঁচটি পরিবর্তনগুলো হলো:
১. অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে আবেদন করা শিক্ষার্থী ভিসা পুনরায় প্রদান শুরু করা হবে। এর মানে হলো যখন আন্তর্জাতিক সীমানা খুলে দেওয়া হবে, তখন শিক্ষার্থীদের কাছে ইতিমধ্যে ভিসা থাকবে এবং তাঁরা শুধু ভ্রমণের ব্যবস্থা করবেন।
২. আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কোভিড-১৯–এর কারণে তাঁদের মূল ভিসার মেয়াদের মধ্যে পড়াশোনা শেষ করতে না পারলে তাঁরা আবার বিনা খরচায় শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
৩. কোভিড-১৯–এর কারণে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অনলাইনে অধ্যয়নরত বর্তমান শিক্ষার্থী ভিসাধারীরা পড়াশোনা শেষে অস্ট্রেলিয়ায় কর্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে সেই পড়াশোনাকে যোগ্যতা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
৪. যেসব স্নাতকধারী শিক্ষার্থী ভিসা নিয়েছিলেন, তাঁরা কোভিড-১৯–এর কারণে নিজ দেশে ফিরতে না পারলে অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৫. আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণের সনদ প্রদানের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।
নতুন এই নীতি প্রণয়ন করার সময় দেশটির ভারপ্রাপ্ত অভিবাসনমন্ত্রী অ্যালান টজ বলেন, ‘আশা করছি, এই পরিবর্তনগুলো আমাদের শিক্ষা খাতকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। যা আমাদের চতুর্থ বৃহত্তম খাত।’
লেখক: অভিবাসন আইনজীবী, অস্ট্রেলিয়া