অস্ট্রেলিয়াতে আন্তর্জাতিক এবং বিশেষ করে বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য অনেক ধরনের সম্পুর্ণ খরচ (Fully funded) এবং কিছুটা নিজ খরচের বাকিটা তারাই দিবে (Partially funded) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্কলারশিপ
১. Australia Awards Scholarships (AAS)
এটি অস্ট্রেলিয়ান গভর্নমেন্টের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক স্কলারশিপ।
সম্পূর্ণ টিউশন ফি
যাতায়াত ভাতা (এয়ার টিকিট ইত্যাদি)
বসবাসের খরচ (মাসিক ভাতা)
স্বাস্থ্য বীমা ইত্যাদি
এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে কোর্স শেষে নিজ দেশে ফিরে যেতে হয়
২. Griffith University Scholarships
গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফুলি ও পার্শিয়ালি ফান্ডেড স্কলারশিপ রয়েছে, যা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের জন্যও খোলা। কিছু স্কলারশিপ সম্পূর্ণ টিউশন ফি কাভার করে, আবার কিছু ৫০% পর্যন্ত টিউশন ফি দেয়
৩. Charles Darwin University Scholarships
এখানে দুই ধরনের স্কলারশিপ ফুল-ফান্ডেড এবং চার ধরনের পার্শিয়ালি-ফান্ডেড, যা ৫০% পর্যন্ত টিউশন ফি কভার করে
৪. University of Sydney International Scholarships
এটি সাধারণত মাস্টার্স ও পিএইচডি-তে বেশি দেয় কিন্তু কিছু আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্কিমও রয়েছে, যেখানে ৪০,০০০ AUD পর্যন্ত ফান্ড পাওয়া যেতে পারে
৫. University of Adelaide Scholarships
এই স্কলারশিপ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট দুটিতেই পাওয়া যায় এবং ৫০% টিউশন ফি ওয়েভার দেয়
৬. Swinburne International Excellence Scholarship
এটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েটদের জন্য দেওয়া হয় এবং আংশিক টিউশন ফি কাভার করে
৪. স্কলারশিপের ধরন
ফুলি ফান্ডেড:সব খরচ (টিউশন ফি, থাকা/খাওয়া, ট্রাভেল সবকিছু) কাভার করে।
পার্শিয়ালি ফান্ডেডনির্দিষ্ট খরচ বা টিউশন ফি’র একটা অংশ কাভার করে।
আবেদনের যোগ্যতা
বেশিরভাগ স্কলারশিপের জন্য ভালো একাডেমিক রেজাল্ট লাগবে। কিছু ক্ষেত্রে কো-ক্যারিকুলার এবং সোশ্যাল ওয়ার্ককেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ বলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করা উচিত ।
বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য টিপস
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ও সরকারি ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখুন।
আগে থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখুন।
ভাষার (IELTS/TOEFL) স্কোর এবং অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট ভালো রাখুন ।
এই তথ্যগুলো আপনাকে স্কলারশিপ অনুসন্ধানে সাহায্য করব