তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া থেকে বাঁচতে বিভিন্ন শহরের কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে; বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো গ্রাহকদেরকে কম বিদ্যুৎ খরচেরও পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ এ সপ্তাহান্তে এবং পরের সপ্তাহজুড়ে ওয়াশিংটন ও অরেগনের সব এলাকা এবং আইডাহো, ওয়াইয়োমিং ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে জানিয়ে অত্যধিক তাপমাত্রাজনিত সতর্কতা জারি করেছে।
সিয়াটলে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সোমবার শহরটির তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলেও পূর্বাভাসে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা শহরটির বাসিন্দাদেরকে বেশি বেশি পানি পান করতে, জানালায় পর্দা ব্যবহার করতে, পাখা ব্যবহার করতে এবং প্রয়োজন পড়লে কুলিং সেন্টারে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
“এটা অসহ্য। আমি একটা কাজে পোস্ট অফিসে গিয়েছিলাম, শেষ পর্যন্ত গাড়িতে করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সানস্ক্রিন, শেড ব্রেক, প্রচুর পানি পান করেও আমি প্রায় অচেতন হয়ে পড়েছিলাম,” টুইটারে এমনটাই বলেছেন এক ব্যবহারকারী।
অরেগনের মতনোমাহ এলাকার কর্মকর্তারা অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন এবং জরুরি চিকিৎসা সেবার ওপর চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন ।
অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ওই এলাকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. জেনিফার ভাইনস সামনের কয়েকদিন ‘প্রাণঘাতী’ তাপদাহ দেখা যেতে পারে জানিয়ে যাদের এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদেরকে কুলিং সেন্টারে যেতে অনুরোধ করেছেন।
দশ রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা প্যাসিফিক পাওয়ার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাপদাহে তাদের সেবায় বিঘ্ন ঘটবে না বলেই তারা ধারণা করছে; তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রাহকদেরকে কম বিদ্যুৎ খরচেরও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
পোর্টল্যান্ড জেনারেল ইলেকট্রিক অরেগনের বাসিন্দাদের জানিয়েছে, শনিবার ও রোববার যে কোনো ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাড়া দিতে তারা প্রায় ১২০ কর্মীকে প্রস্তুত রেখেছে।
দাবদাহের ধারাবাহিকতায় কয়েকদিনের ভেতর বিভিন্ন এলাকায় দাবানলও দেখা যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনএসডব্লিউ)।
গত বছরের দাবানলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার পুড়েছে; ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার বাড়িঘর।