টানা দুই সপ্তাহ পর ১৫ জুলাই থেকে শিথিল হলে ওইদিনই প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। গতকাল পর্যন্ত প্রথম পাঁচদিনে রাজধানী ছেড়েছে অর্ধকোটি মানুষ। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আজও ঢাকা ছাড়তে পারে আরো ১০-১৫ লাখ।
সিম ব্যবহারকারীর তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, ওইদিনই প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে।
২৩ জুলাই থেকে আন্তঃজেলা পরিবহন যোগাযোগ বন্ধের পাশাপাশি আবারো কঠোর বিধিনিষেধ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। সে হিসাবে ঘরমুখো মানুষ এবার ঢাকা ছাড়ার জন্য ছয়দিন সময় পেলেও ঈদের পর ফেরার জন্য সময় পাচ্ছে মোটে একদিন।
পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে কর্মস্থলে ফিরতে মাত্র একদিন সময় দেয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই যৌক্তিক হয়নি। ঘরমুখো মানুষ ঢাকা ফেরার জন্য একদিনে সবাই একযোগে রওনা দিলে ভয়াবহ জনদুর্ভোগের পাশাপাশি কভিডের সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২২ জুলাই কর্মস্থলে ফেরার জন্য একদিনে সবাই রাস্তায় নামলে যানজট, জনজট, গণপরিবহন, ফেরিঘাট, টার্মিনালে মানুষের গাদাগাদিতে ভয়াবহ ভোগান্তির পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এতে করে গত ১৪ দিনে ব্যাপক ক্ষতি স্বীকার করে পরিপালিত কঠোর বিধিনিষেধে অর্জিত ফলাফল শূন্যের কোটায় পৌঁছবে।
তবে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটা বড় অংশই একদিনের মধ্যে ফিরে আসার ঝুঁকি নিতে চাইবে না বলে মনে করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান।
ঈদ-পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধ ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের জন্য একটি ভালো কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড হতে পারে বলে মনে করছেন অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তবে বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের বিধিনিষেধ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।
আকাশপথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৭০টির মতো ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইনসগুলো। আকাশপথে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে সবক’টি এয়ারলাইনস।