অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্ব দিবে মিশর

অর্থের বিনিময়ে বিদেশিদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশরের সরকার । যেকোনো বিদেশি  মিশরের নাগরিকত্ব পেতে চাইলে৭০ লাখ পাউন্ড (৩ লাখ ৯২ হাজার মার্কিন ডলার) নিয়ে দেশটিতে যেতে হবে এবং পাঁচ বছর পর তা মিশরের অর্থবিভাগে জমা দিতে হবে।

সোমবার মিশরীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া এক সংশোধনীতে এ তথ্য  দেওয়া হয়েছে ।

২০১১ সালের গোড়ার দিকে প্রবল গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন স্বৈরশাসক হোসনি মুবারক সরকারের পতন হয়। ওই গণআন্দোলনের জের ধরে মিশর থেকে হাজার হাজার কোটি ডলারের পুঁজি বেরিয়ে যায়। এ কারণে বিদেশি পুঁজি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে মিশরের পার্লামেন্ট এ বিল পাস করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিলে বলা হয়েছে, বিদেশি নাগরিকরা ৭০ লাখ মিশরীয় পাউন্ড বা সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা মিশরের কোনো ব্যাংকে জমা রাখলে এবং পাঁচ বছর পর সেই অর্থ কায়রোর অর্থ মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করলে তাকে মিশরের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এই পাঁচ বছর অর্থ জমাদানকারী ব্যক্তিকে মিশরে বসবাস করতে হবে।

তবে মিশরে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের ওপর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় এই আইনের মাধ্যমে এখনো একথা স্পষ্ট নয় যে, বিদেশিরা মিশরের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর দেশটিতে কী ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা চালাতে পারবে। মিশরীয় পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রধান জেনারেল কামাল আমের বলেছেন, নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রথম পাঁচ বছর বিদেশিদের কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর অধিকার থাকবে না। এ ছাড়া, পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মিশরের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর ১০ বছর অতিক্রান্ত হতে হবে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, মিশরের নাগরিকত্ব অর্জনকারী ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তানরা মিশরে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস না করা পর্যন্ত তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: