অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের থিংক ট্যাংক বিসিজি হেন্ডারসন ইনস্টিটিউট৷ জাতিসংঘের সহযোগিতায় ১৯ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে৷
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ২৮০ মিলিয়ন বা ২৮ কোটি মানুষ অভিবাসী হিসাবে বিবেচিত৷ তারা যদি একসাথে একটি দেশে বাস করতেন তবে সেটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে পরিণত হতো৷ আর অর্থনীতির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরেই থাকত তাদের অবস্থান৷
বিসিজি হেন্ডারসন ইনস্টিটিউট প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিসংখ্যানগুলো অভিবাসীদের নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলোর ঠিক উল্টো৷ যেমন, সারা বিশ্বে অভিবাসীরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন৷
প্রতি বছর অভিবাসীরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রায় নয় ট্রিলিয়ন বা নয় লাখ কোটি ডলার যোগ করেন৷ যদিও এই প্রতিবেদনে অভিবাসীদের সব অর্থনৈতিক খাতকে নথিভুক্ত করা হয়নি৷ যেমন, অভিবাসীদের মাধ্যমে সৃষ্ট ব্যবসা ও উদ্ভাবনের মতো খাতকে বিবেচনায় নেয়া হয়নি৷
বছরে তিন কোটি চাকরি
বিসিজি হেন্ডারসন ইনস্টিটিউটের মতে, বিশ্ব অর্থনীতিতে অভিবাসীদের ভূমিকা ভবিষ্যতে আরও বাড়াতে হবে৷
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি গুরুতর কর্মী সংকটে ভুগছে৷ সামনের বছরগুলোতে এই ঘাটতি আরও বাড়বে৷ সারাবিশ্বে উৎপাদন শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য খাতে কমপক্ষে ত্রিশ মিলিয়ন বা তিন কোটি কর্মসংস্থান তৈরী হবে৷
এই গবেষণা অনুযায়ী, ৭২ শতাংশ শীর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছে বিশেষ করে উদ্ভাবন খাতের জন্য অভিবাসীরা বড় সম্পদ৷ তবে মাত্র ৪০ শতাংশ সাধারণ মানুষ এই ধারণার সাথে একমত পোষণ করেন৷
অর্থ্যাৎ, জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অভিবাসীদের ব্যাপারে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণায় বিশ্বাসী৷