তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নজির সৃষ্টি করেছে ইউরোপের বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়া। রাজধানী টালিনসহ বিভিন্ন শহরে বসবাস করছেন প্রায় পাঁচশো বাংলাদেশি; যুক্ত আছেন বিভিন্ন পেশায়। প্রযুক্তি খাতে দক্ষ হলে অভিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ আছে বলে মনে করেন এস্তোনিয়ানরা।
৪৫ হাজার ৩৩৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে ইউরোপের ছোট্ট দেশ এস্তোনিয়া। আয়তনে ছোট হলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ইউরোপের অনেক উন্নত রাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটি।
ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধনের চমৎকার উদাহরণ এস্তোনিয়ার রাজধানী টালিন। ঐতিহাসিক সব স্থাপনা ও নির্দশন সংরক্ষণ করেই পুরো নগরকে নতুন করে সাজিয়েছেন এস্তোনিয়ানরা।
টালিন ছাড়াও কয়েকটি বড় শহরে পাঁচশো বাংলাদেশি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। যুক্ত আছেন বিভিন্ন পেশায়। বন্ধুসুলভ জাতি হিসেবেও এস্তোনিয়ানদের প্রশংসা করলেন দেশটিতে বসবাস করা বাংলাদেশিরাও।
প্রোগ্রামিংসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা থাকলে এস্তোনিয়ায় এখনো অভিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ আছে বলে জানান এস্তোনিয়ানরা।
এস্তোনিয়ার গবেষক ত্রিনু ওয়ালা বলেন, আমার এখানে বেশ কিছু বাংলাদেশির সাথে পরিচয় হয়েছে। তারা খুব বন্ধুসুলভ ও শান্তিপ্রিয়। এস্তোনিয়ায় স্কাইপি, ওয়াইজ বা বোল্টের মতো বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যাদের এখনো দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। তাই প্রোগ্রামিংসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা থাকলে আর ভালো ইংরেজি বলতে পারলে বাংলাদেশিরাও এখানে ভালো করবে।
এস্তোনিয়ার প্রযুক্তিখাত বা নতুন নতুন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ইউরোপে টেক্কা দিচ্ছে জার্মানি বা ফ্রান্সের মত শক্তিধর দেশকেও। এছাড়া স্থাপত্যশিল্পেও জুড়ি নেই তাদের। শীতপ্রধান আবহাওয়া হলেও নানা কারণেই অনেক পর্যটক বেছে নেন এস্তোনিয়াকে।