১৮ জুন রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশটির নাদলাক-২ সীমান্ত পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন দেশের ৯২ জন অভিবাসীকে তিনটি গাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।
এসব ব্যক্তিরা অনিয়মিতভাবে শেঙেন সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। তুর্কি ও রোমানিয়ার নাগরিকদের চালিত গাড়িগুলোর ভেতর বিভিন্ন উপায়ে লুকিয়ে ছিলেন তারা৷
রোমানিয়ায় নিবন্ধিত দুটি মিনিবাস এবং তুরস্কে নিবন্ধিত একটি লরি রোমানিয়া থেকে বের হয়ে সীমান্তের আনুষ্ঠানিকতার জন্য আরাদ কাউন্টিতে অবস্থিত নাদলাক-২ বর্ডার পয়েন্টে হাজির হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাস করে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ।
পণ্যের সঙ্গে থাকা নথি অনুসারে, লরির চালক একটি স্লোভাক ট্রেডিং কোম্পানির জন্য পণ্য পরিবহন করছিলেন। অপরদিকে, মিনিবাসের চালকরা পণ্য ছাড়াই রোমানিয়া-ইটালি রুটে ভ্রমণ করছিলেন বলে কাস্টমস ও পুলিশকে জানান।
এ সময় গাড়িগুলোর ঝুঁকি বিশ্লেষণ তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ির ভেতরে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেয় সীমান্তরক্ষীরা। তদন্তের পর গাড়িগুলো থেকে মোট ৯২ জন অভিবাসীকে শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে, শুধু লরির ভেতরেই ছিলেন ৫০ জন অভিবাসী৷
আটকের পর সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে৷ সেখানে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিবাসীরা বাংলাদেশ, সিরিয়া, ইরাক, শ্রীলঙ্কা এবং মিশরের নাগরিক বলে নিশ্চিত হয় রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে, আবার অনেকেই বৈধ ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছিল। তবে তাদের সবাই প্রতারণামূলকভাবে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল বলে জানায় বর্ডার পুলিশ।
সীমান্তরক্ষীরা গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে অভিবাসী পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করছে। এছাড়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অনিয়মিতভাবে রোমানিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টার দায়ে বিচারিক তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই অভিযান ছাড়াও চলতি মাসের ১৪ জুন রোমানিয়ার আলোচিত তিমিসুয়ারা বর্ডার পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ ও সিরিয়ার আরও ৩৫ জন অভিবাসীকে আটক করার তথ্য দিয়েছিল সীমান্ত পুলিশ।