শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

অচেনা এক কমলাপুর দেখছে ট্রেনের যাত্রীরা

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩

ঈদযাত্রায় বদলে যাওয়া কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে থেকে বুধবারও স্বাভাবিক নিয়মে ঢাকা ছেড়ে গেছে সবগুলো ট্রেন। যাত্রী মুখে ছিলো ঘরে ফেরার খুশি। ঈদ যাত্রার তৃতীয় দিন ভিড় বাড়লেও যাত্রীর স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি। এক অচেনা কমলাপুরকে দেখছে যাত্রীরা।

কমলাপুর

ঈদযাত্রার তৃতীয়দিনে স্ট্যান্ডিং টিকেট যাত্রীদের চাপ ছিলো আগের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু এবার ট্রেনের ছাদে যাত্রী ছিলো না। ছিলো না সিট খুঁজে না পাওয়ার বিড়ম্বনা। তবে, সন্ধ্যার পর থেকে ভিড় বাড়বে বলে জানাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ঈদের ছুটি’র পরদিন, কমলাপুর রেলস্টেশনের সেই চিরচেনা ছবি দেখা যায়নি। ট্রেন যাত্রায় নেই গাদাগাদি। যাত্রী নেই ট্রেনের ছাদে, আবার সময়সূচিতেও নেই কোনো বিপর্যয়। তাই, বয়স্করাও স্বস্তি নিয়ে ট্রেনে চেপে ফিরছেন বাড়িতে। শিশুরা পেয়েছেন বাড়তি আনন্দ।

স্টেশনের বাইরে একবার আর ভেতরে দুই বার এনআইডি আর টিকেট চেক করার পরেই যাত্রী যেতে পারছেন ট্রেনের কাছে। যে কারণে টিকেটবিহীন যাত্রীদের চাপ নেই।কর্মকর্তারা জানান, স্টেশনে চলছে টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে তিন স্তরের কড়া চেকিং।

এবারই প্রথম ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ কার্যক্রম শুরু করে রেলওয়ে। সাত এপ্রিল থেকে অনলাইনে শুরু হয় নিজের এনআইডির মাধ্যমে ভ্রমণেচ্ছুদের টিকিট প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় টিকিটের সঙ্গে এনআইডি মিলিয়ে তারপরেই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে যাত্রীদের।

আগের দু’দিনের চেয়ে যাত্রীচাপ অনেকটাই বেশি ছিল তৃতীয় দিনে। যদিও স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন সর্বোচ্চ ভিড় হবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারোয়ার বলেন, ভিড় বাড়লেও তারা প্রস্তুত। শৃঙ্খল থাকবে ট্রেন যাত্রায়।

যাত্রীরা বলছেন, এবারের ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই করতে পেরেছে রেলওয়ে, তাদের প্রত্যাশা যাবার পথের মতো ফিরতি যাত্রাতেও নির্বিঘ্নে ফিরতে পারবেন তারা। এছাড়া, টিকিট ছাড়া ভ্রমণ না করতে পারার বিষয়ে তদারকি সব সময়ের জন্য চেয়েছেন যাত্রীরা।

তবে, যাত্রী চাপ বাড়ায় স্টেশনে এসেও স্ট্যান্ডিং টিকেট পাননি অনেকেই। তাই, ক্ষোভ ছিলো তাদের, যারা ঈদের আগে যেকোনোভাবে বাড়ি ফিরতে চান। কমলাপুর রেলস্টেশনে কমিউটার ট্রেনের টিকিট বিক্রির কাউন্টারের সামনেও মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

এবার ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকেট ছাড়া হলেও সংখ্যায় তা সীমিত। ফলে তীব্র গরমে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে না। ছাদেও উঠতে দেওয়া হচ্ছে যা যাত্রীদের। রেলের কর্মীরা জানালেন, কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর ও গাজীপুরে ছাদে উঠা ঠেকাতে আছে নজরদারি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com