শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

হিমালয়ের দেশ নেপাল (রিল্যাক্স ট্যুর)

  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
Kathmandu, Nepal - November 04, 2016: Tourists walking in Kathmandu streets Nepal, Asia.

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু হিমালয় পর্বতমালা দ্বারা ঘেরা একটি উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত। ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের ফলে শহরের অনেক ঐতিহাসিক সাইটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। দরবার স্কয়ারের প্রাসাদ, হনুমান ধোকা, কাঠের হিন্দু মন্দির, কাঠমান্ডাপ পুনর্গঠিত হচ্ছে।
বর্গক্ষেত্রের মাজু দেবাল, এটির খাড়া সিঁড়িগুলির জন্য পরিচিত, একটি প্যাগোডাও পুনর্নির্মিত করা হচ্ছে। শহরটির অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থানগুলি পুনর্নির্মিত করা হয়েছে। পশুপতিনাথ, ১৪০০-এর দশকের একটি হিন্দু মন্দির, ভূমিকম্পে বেঁচে গিয়েছিল। বাগমতী নদী দক্ষিণে পাটান শহর, ধনী ধাতু এবং অন্যান্য কারুশিল্পের জন্য বিখ্যাত এবং হিন্দু, বৌদ্ধ এবং তান্ত্রিক হস্তনির্মিত আবাসস্থল, পটান যাদুঘরের বাড়ি। আঞ্চলিক খাদ্য বিশেষণগুলি হল মোমোস (ডাম্পলিংস), দাল ভাট (দই, চাল এবং সবজি) এবং নেওয়ারী ভুট্টা খাবার।
পোখারা, কেন্দ্রীয় নেপালের ফেওয়া লেক সংলগ্ন একটি শহর। এটি হিমালয়ের একটি জনপ্রিয় পথ অন্নপূর্ণা সার্কিটের গেটওয়ে হিসাবে পরিচিত। তাল বারহী মন্দির যা একটি দ্বিতল প্যাগোডা, এই হ্রদের একটি দ্বীপে অবস্থিত। পূর্ব উপকূলে, লেকসাইড জেলায় যোগ কেন্দ্র এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে। শহরের দক্ষিণে, ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেন মিউজিয়াম পর্বতযুদ্ধের ইতিহাস এবং হিমালয়ের জনগণের ইতিহাস প্রদর্শিত রয়েছে।
যাদুঘরের পশ্চিমে এবং ছোট দেবী ফলের পূর্ববর্তী, টিশি লিঙ্গ তিব্বতি বসতি, যেখানে তিব্বতী কারুশিল্প তৈরি করা হয়। উজ্জ্বল সাদা বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা, তার সোনালী বুদ্ধ মূর্তিগুলির সাথে, হ্রদ এবং শহরটির উপরে একটি উচ্চ তীরের উপর দাঁড়িয়ে আছে। হিন্দু দেবী দুর্গাকে উৎসর্গ করা বিন্দুবাষিনী মন্দিরটি, পুরনো বাজারের কাছাকাছি একটি পাহাড়ে শহরটির উত্তরে অবস্থিত। নিকটবর্তী গুরখা স্মৃতিস্তম্ভ যাদুঘরের অস্ত্র ও ইউনিফর্ম সহ গুরখা রেজিমেন্টের ইতিহাসে প্রদর্শিত হয়েছে। এখানে পশ্চিম, সারাংকোট হিল পাহাড়ের ভৌতিক দৃশ্য প্রস্তাব করে। এটি প্যারাগ্লাইডিংয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় লঞ্চ সাইট।

ভ্রমণের সম্ভাব্য বর্ণনাঃ
-১ম দিন: ঢাকা থেকে সকালের ফ্লাইটে নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা হবো। নেপালে এয়ারপোর্টের ফর্মালিটি শেষ করে চলে যাবো থামেল। ঐ দিন আমরা থামেল সাইটসিন করে ফেলবো। নাইট স্টে থামেল।
-২য় দিন: সকালের বাসে চলে যাবো পোখারা। বিকেলের মধ্যে পৌঁছে যাবো পোখারা তারপর হোটেলে চেক ইন করে পোখারার সৌন্দর্য দেখতে বের হয়ে যাবো। বিকেলে ফেওয়া লেকে আড্ডা হবে জমপেশ।
-৩য় দিন: খুব ভোরে সূর্যদয় দেখতে চলে যাবো সারাংকোট। তারপর একে একে পোখারার দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে দেখবো। নাইট স্টে পোখারা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ,কেউ চাইলে নিজ খরচে প্যারগ্লাইডংটাও করে নিতে পারেন।
-৪র্থ দিন: এই দিন বাসে চলে আসবো থামেল। এই দিনটা শুধু নিজেদের জন্য যে যার মত শপিং করবেন। থামেলে নিজেদের মত ঘুরে বেড়াবেন।
-৫ম দিন: সকালের ফ্লাইটে ঢাকা।

প্যাকেজে থাকছেঃ
-এয়ারপোর্ট পিক এন্ড ড্রপ
-কাঠমুন্ডু – পোখারা – কাঠমুন্ডু এসি বাস
-হোটেলে ওয়েলকাম ড্রিংক্স
-বুফে ব্রেকফাস্ট
-প্রতি দিন দুপুর ও রাতের খাবার
-দুই রাত কাঠমুন্ডু শেয়ার বেসিসে থাকা
-দুই রাত পোখারা শেয়ার বেসিসে থাকা
-হাফ ডে কাঠমান্ডু সাইটসিন
-হাফ ডে পোখারা সাইটসিন
-সারাংকোটে সূর্যদয় দেখা
-অভিজ্ঞ গাইড
-ভিসা সাপোর্ট
-Adventure Madness এর একটি এক্সক্লুসিভ টি-শার্ট।

প্যাকেজে থাকছে নাঃ
-বিমান ভাড়া।
-ঔষধ/শপিং
-মেন্যুর বাইরে যে কোন খাবার।
-মিনারেল ওয়াটার, চা, কফি।
-পার্ক, বিনোদন, রাইডের টিকেট।
-উল্লিখিত ভ্রমণপথের তুলনায় অতিরিক্ত ঘুরে বেড়ানো বা গাড়ির অতিরিক্ত ব্যবহারের খরছ।
-প্যাকেজে নেই এমন খরচ।
-প্রথমবার নেপাল ভ্রমণ করেছে এমন কারো ভিসা ফি।

শর্ত সমুহঃ
◘ নির্দিষ্ট সময়ে ইভেন্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
◘ ভ্রমন চলাকালীন যেকোন সমস্যা/দুর্ঘটনা মেনে নেওয়ার মন মানসিকতা নিয়েই অংশগ্রহন করবেন।
◘ যেকোন সমস্যা অংশগ্রহনকারী সকলে মিলে সমাধানের চেষ্টা করবেন।
◘ সকল নিয়ম কানুন অবশ্যই মেনে চলার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই অংশগ্রহন করত হবে।
◘ অতিরিক্ত দুঃসাহসিকতা দেখানো যাবেনা।
◘ দলছাড়া হয়ে ঘুরা যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে দলকে জানিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
◘ দলের কাউকে কষ্ট দিয়ে কোন কথা বলা বা কাজ করা যাবে না।
◘ সম্পূর্ন ইভেন্ট বিবরণ ও বিস্তারিত পড়ে অংশগ্রহন করতে হবে।
◘ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিধস , রাস্তা অবরোধের , রাজনৈতিক গোলযোগ ( ধর্মঘট ) ইত্যাদি কারণে উদ্ভূত কোন খরচ ক্রেতা ও ভোক্তাকে সরাসরি ঘটনাস্থলেই বহন করতে হবে।

বি:-দ্র:- পুরো পৃথিবী করোনা মহামারীর কারণে থমকে গিয়েছিলো, যার কারণে বন্ধ ছিলো সব ধরনের ট্যুরিজম। এখন আবার চালু হয়েছে, তাই সবাই যার যার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিজ দায়িত্বে যতটুকু সম্ভব সেফলি থাকার চেষ্টা করবেন এবং আমাদের পক্ষ থেকেও যতটুকু সম্ভব সচেতনা বৃদ্ধির ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া থাকবে ।

রিফান্ড পলিসিঃ
* আয়োজকদের পক্ষ থেকে সমস্যা বা যেকোন কারণে ট্যুর ক্যান্সেল হলে ১০০% রিফান্ড পাওয়া যাবে।
* ট্যুরের ১ সপ্তাহ আগে বুকিং ক্যানসেল করলে ৮০% রিফান্ড পাওয়া যাবে।
* ট্যুরের ২-৬ দিন আগে বুকিং ক্যানসেল করলে ৪০% রিফান্ড পাওয়া যাবে।
* ট্যুরের ১ দিন আগে বা ট্যুরের দিন ক্যানসেল করলেও কোন রিফান্ড পাওয়া যাবে না।
* রিফান্ড বিষয়ে আপনার যাবতীয় সমস্যার কথা জানাতে ও তথ্য জানতে hi.travelbd@gmail.com-এ মেইল করতে হবে।

করোনা সতর্কতাঃ
* ট্যুরের সময়ে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
* করোনার যেকোন লক্ষণ কারো মধ্যে দেখা গেলে তার ট্যুর সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসেল করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com