শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

বেলজিয়ামের ভিসা

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

বেলজিয়াম ইউরোপের সেনজেন এলাকার দেশ, ৯০ দিন বা এর চেয়ে কম সময়ের জন্য বেলজিয়াম যেতে ভিসা আবেদন করতে ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের মাধ্যমে সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর ৯০ দিনের বেশি মেয়াদের ভিসার জন্য বেলজিয়াম দূতাবাসে যেতে হবে।

বেলজিয়ামের সেনজেন ভিসা ইস্যু করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাসের বেশি থাকতে হবে)
  • সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি ছবি। সাদা পটভূমিতে ছবি তুলতে হবে, চোখে কালো চশমা বা মাথায় টুপি জাতীয় কিছু রাখা যাবে না আর ছবিতে অবশ্যই পুরো মুখমণ্ডল আসতে হবে।
  • ভ্রমণ শেষ হওয়ার পরও অন্তত ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
  • পাসপোর্টের ডাটা পেজগুলোর ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।
  • অন্তত ৩০ হাজার ইউরো মূল্যমানের স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হবে।
  • জমা দেয়া প্রতিটি কাগজের মূলকপির সাথে একটি করে ফটোকপিও দিতে হবে।
  • আবেদনপত্রের ভাষা অথবা ফর্মের ঘরগুলো ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। সুইডিশ, ডেনিশ, অথবা নরওয়েজিয়ান ভাষাতেও পূরণ করা যাবে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে  বাবা মা বা বৈধ অভিভাবকের অনুমতিপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাবা-মা বা অভিভাবকে অবশ্যই দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
  • প্রতিটি ভিসার জন্য প্রায় ৬০ ইউরো সমপরিমাণ টাকা এডমিনিস্ট্রেশন ফি হিসেবে জমা দিতে হয়। ভিসা সাক্ষাতকারের পরপরই এই ফি দিতে হয়।

বিজনেস ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:

  • ভ্রমণকারীর বেলজিয়ামস্থ কোম্পানির পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের মূলকপি প্রয়োজন হবে। এই আমন্ত্রণপত্র অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় হতে হবে।
  • ভ্রমণকারী বাংলাদেশের যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে ভ্রমণে যাচ্ছেন সে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের তরফে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে লেখা চিঠি জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের মালিকের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
  • বিগত তিন মাসে কোম্পানির ব্যাংক হিসাব বিবরণী।
  • কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন অথবা মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • বাংলাদেশে এবং বাইরে লেনদেনের তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • বেলজিয়ামে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আরও অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
    – হোটেলের ঠিকানাসহ হোটেল রিজার্ভেশন এবং
    –  স্টল বরাদ্দ হয়ে থাকলে এক্সিবিটর পাস।

বেলজিয়ামের সেনজেন ভিসার জন্য চার্জ (বিজনেস ভিসার জন্য):

ভিসা

ভিসা ফী

সেনজেন ভিসা

৬৫০০ টাকা

দীর্ঘ দিন অবস্থানের জন্য

৬৫০০ টাকা

শিশুদের জন্য (৬ – ১২ বছর)

৩৮০০ টাকা

৬ বছরের ছোট শিশুদের জন্য

কোন ভিসা ফী লাগবে না

* ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এর তথ্য, ভিসার জন্য আবেদনের চার্জ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।

বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করতে যেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:

  • যার সাথে দেখা করতে যাওয়া হচ্ছে তার সাক্ষরিত গ্যারান্টর ফরম,
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),
  • হোটেল বুকিং (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। হোটেল বুকিং কনফার্মেশনের ই-মেইল প্রিন্ট আউট গৃহীত হয় না।
  • অন্তত বিগত তিন মাস সময়কালে ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী,
  • ভ্রমণকারী যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন তার সাথে সম্পর্কর প্রমাণপত্র এবং
  • ফ্লাইট রিজার্ভেশন কপি।

বেলজিয়ামের সেনজেন ভিসার জন্য চার্জ
(
বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করতে):

ভিসা

ভিসা ফী

সেনজেন ভিসা

৬৫০০ টাকা

দীর্ঘ দিন অবস্থানের জন্য

৬৫০০ টাকা

শিশুদের জন্য (৬ – ১২ বছর)

৩৮০০ টাকা

৬ বছরের ছোট শিশুদের জন্য

কোন ভিসা ফী লাগবে না

* ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এর তথ্য, ভিসার জন্য আবেদনের চার্জ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।

ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • হোটেল বুকিং (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। হোটেল বুকিং কনফার্মেশনের ই-মেইল প্রিন্ট আউট গৃহীত হয় না।
  • ভ্রমণকারী কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে চলেছেন তার বিস্তারিত।
  • ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • অন্তত বিগত তিন মাস সময়কালে ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী।

বেলজিয়ামের সেনজেন ভিসার জন্য চার্জ (ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে):

ভিসা

ভিসা ফী

সেনজেন ভিসা

৬৪০০ টাকা

দীর্ঘ দিন অবস্থানের জন্য

৬৪০০ টাকা

শিশুদের জন্য (৬ – ১২ বছর)

৩৭৫০ টাকা

৬ বছরের ছোট শিশুদের জন্য

কোন ভিসা ফী লাগবে না

* ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এর তথ্য, ভিসার জন্য আবেদনের চার্জ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তন হতে পারে।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • বেলজিয়ামে ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের চার থেকে ছয় সপ্তাহ আগে ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়া উচিত।
  • সাধারণত ১২-১৫ কর্মদিবসের মধ্যেই বেলজিয়ামের ভিসা ইস্যু হয়ে যায়। তবে কখন কখন ১ মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
  • ভিসা ইস্যু হওয়ার পর পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়ই ভিসা কিভাবে দেয়া হয়েছে সেটা দেখে নেয়া উচিত। কোন সমস্যা থাকলে সাথে সাথেই ভিসা কাউন্টারে জানাতে হবে।
  • শুধু ভিসা আবেদনের সময়ই নয়, বেলজিয়ামে প্রবেশের সময়ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে হয়। কারণ সেনজেন ভিসাই বেলজিয়ামে প্রবেশের একমাত্র নিশ্চয়তা নয়। তাই আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ ভ্রমণের সময় সাথে রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com