শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
Uncategorized

ঢাকায় চালু ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সর্ম্পক হৃদয়ের, ভালোবাসার। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৬ লাখ মানুষ ভিসা নিয়ে ভারতে যাচ্ছে। এ সংখ্যা কখনও কখনও বাড়েও। যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভারতীয় ভিসা সেন্টারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ‘অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার’ উদ্বোধন করেন প্রণয় কুমার ভার্মা। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এ সেন্টার থেকে অনলাইন আবেদন পূরণের সুবিধাসহ ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও জানতে পারবেন ভিসা প্রত্যাশীরা। বাংলাদেশের মানুষ ভারতে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যিসহ বিভিন্ন কারণে যাচ্ছেন। এজন্য বাংলাদেশে ১৫টি ভিসা সেন্টার খোলা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যমুনা ফিউচার পার্কে যে ভারতীয় ভিসা সেন্টারটি রয়েছে, তা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভিসা সেন্টার। বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যাচ্ছেন, তাদের সহযোগিতায় এ অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফ্যাসিলিটেশন সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে খুব সহজেই ভিসার জন্য ফরম পূরণ করা যাবে।’

প্রণয় কুমার ভার্মা জানান, প্রতি বছরই ভিসা প্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা বিষয়টিকে খুবই আনন্দের সঙ্গে নিচ্ছি। এজন্যই আমাদের ভিসা সেন্টারগুলোতে নতুন নতুন সহযোগিতা সেন্টার সংযুক্ত করছি। আমরা চাই, বাংলাদেশে মানুষ সহজেই ভিসা জমা ও গ্রহণ করবে। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজারের ওপরে ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। এ সংখ্যা বাড়ছেই। সবই করছি সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে। দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক তা অসাধারণ ও অনন্য।

অনলাইন ভিসা আবেদন বাধ্যতামূলক হওয়ার পর থেকেই এই ধরনের একটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে যেখানে কম্পিউটার বা ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা নেই এমন আবেদনকারীরা তাদের পাসপোর্ট/নথিপত্র নিয়ে ভিএএফসি-তে আসতে পারেন এবং অনলাইন ভিসার সুবিধা গ্রহণপূর্বক আবেদনপত্র পূরণ করে সেটা প্রিন্ট করাতে পারেন। এখন পর্যন্ত যে সকল সাধারণ জনগণ নিজে নিজে ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করতে পারেন না তারা এজেন্টের দ্বারস্থ হয়ে অনেক খরচ করে ভিসা আবেদনপত্র প্রস্তুত করতেন। ভিএএফসি-তে ফর্ম পূরণ করার সুবিধা আবেদন প্রতি নামমাত্র ২০০/- টাকা পরিষেবা ফি নিয়ে প্রদান করা হবে। এটি হবে আইভ্যাক প্রদত্ত একটি ঐচ্ছিক মূল্য সংযোজিত পরিষেবা। চাহিদার উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের অন্যান্য আইভ্যাকসমূহেও এই সুবিধা চালু করা হবে।

যেহেতু ভিএএফসি-টি জেএফপি-র আইভ্যাক-এর কাছেই অবস্থিত। তাই ভিসা আবেদনকারীরা সহজেই ভিএএফসি-তে ভিসা আবেদন প্রস্তুত করতে পারবেন এবং তারপরে আইভ্যাকে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদনপত্র ও নথি জমা দিতে পারবেন। যাতে সময় ও শ্রম উভয়ই বাঁচবে৷ অনলাইনে ফর্ম পূরণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া জনগোষ্ঠীর হাতে ডিজিটাল উপায়ে হাত রাখার একটি প্রয়াস হলো এই ভিএএফসি-টির উদ্বোধন।

বাংলাদেশে অবস্থিত ১৫টি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাকসমূহ) ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে। যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত আইভ্যাক ঢাকা ২০১৮ সালের জুলাই থেকে কার্যক্রম শুরু করে, যা বিশ্বের বৃহত্তম ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র।

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হলো একটি ভারতীয় পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক বিশ্বের ৩৫টি দেশে যার ২৫,০০০টিরও বেশি শাখা রয়েছে। এসবিআই-এর মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪৬ কোটিরও বেশি এবং এর ব্যালেন্স শিটের পরিমাণ ৯০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসবিআই একটি Fortune 500 প্রতিষ্ঠান এবং সম্পদের পরিমাণ হিসাবে এটি বিশ্বের শীর্ষ ৫০টি ব্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশে আইভ্যাকসমূহ পরিচালনার পাশাপাশি এসবিআই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৩টি শাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে সেবা দিচ্ছে।

অনলাইন অ্যাপি্লকেশন ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক ও তথ্য) অনিমেষ চৌধুরী, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) সিওও ঢাকা সুমন্ত ঘোষ, ডেপুটি সিওও কিংশুক মিত্রসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com